প্রাথমিক কথা

প্রাথমিক কথা

FOR YOUR COMMENTS

Click "[_] commetns:" at bottom of Post

Friday, June 6, 2014


আমরা কোথায় যাব ? –২

“জাতীয় দল”-এই স্বীকৃতি পাওয়া ও তা ধরে রাখার প্রচেষ্টা প্রসংগ ঃ-

সংসদীয় গণতন্ত্রে অনেক ক্ষেত্রেই জাতীয় দলের বিশেষ মর্যাদা ও অগ্রাধিকার আছে। বিশেষত নির্বাচনের সময়ে সব রকম কর্মকাণ্ডেই জাতীয় দলগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। প্রার্থীর প্রতীক বিতরণ থেকে শুরু করে ভোটার লিষ্ট পাওয়া, সভা করা, বুথ এজেণ্টদের এবং কাউণ্টিং এজেণ্টদের সামনের সারিতে বসার অগ্রাধিকার এই দলগুলো পায়। জাতীয় দলের পর সুযোগ পায় আঞ্চলিক দল, তারপর নির্দল। সেজন্যে সব রাজনৈতিক দলই নিজেদের এই জাতীয় দলের স্বীকৃতি অর্জনের জন্য সচেষ্ট হয়। কমিউনিস্ট বলে স্বঘোষিত পার্টিগুলোও এই ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন থাকে। দীর্ঘ অভ্যাসের মধ্য দিয়ে এই সচেতনতা একটা প্রধাণ বিষয় হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এই স্বীকৃতি একটা গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বাম পার্টিগুলোও এই গর্বে গর্বিত। স্বতসিদ্ধভাবেই এই স্বীকৃতি ধরে রাখার জন্যও তারা সর্বদা সচেষ্ট থাকে এবং প্রয়োজনে বিবিধ কৌশল অবলম্বন করে। যে কথা সব সময়ে মনে রাখা প্রয়োজন, তা মনে রাখা হয় না।

১।     নির্বাচন কমিশন জাতীয় দলের স্বীকৃতি দিলেই দেশের মানুষের কাছে জাতীয় দলের স্বীকৃতি পাওয়া যায় না, সমগ্র জাতির দল হওয়া যায়না।

২।    রাজ্যভিত্তিক ভোটের এবং প্রাপ্ত আসনের সামান্য হেরফেরেই নির্বাচন কমিশনের দেয়া জাতীয় দল-এর স্বীকৃতি বাতিল হয়ে যায়।

৩।    প্রকৃত জাতীয় দলের স্বীকৃতি নির্বাচন কমিশন বা সরকার না দিলেও দেশ শুদ্ধু মানুষের মনে থেকে যায়।

৪। অন্য রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলোর সাথে দুয়েকটি আসন বোঝাপড়াকে আমি মনে করি জাতীয় দলের স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যেই এই বোঝাপড়ার চেষ্টা। বিনিময়ে তাঁদের কেউ কেউ বামেদের শক্তি যেখানে বেশি সেখানে দুতিনটি আসন দাবী করেন। অন্য রাজ্যে এভাবেই পাওয়া কয়েকটি আসন ( অর্জন বা জয়লাভ বলব না) যোগাড় করাকে নেতৃত্ব সে রাজ্যে সংগঠনের বিস্তার ঘটেছে বলে ফলাও প্রচার করেন কিন্তু পরের নির্বাচনে দেখা যায় ফল উল্টো হয়েছে। এই ফাঁকিবাজি বোঝাপড়া অর্থহীন ও সুবিধাবাদের পরিচায়ক, আসল কাজে বা লক্ষ্য সাধনে নিস্ক্রিয়তার পরিচায়ক। ২০১৪-তে জয়ললিতা যখন প্রকাশ্যে সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করেন যে, তাঁরা একটি আসনও কাউকে ছাড়বেন না তখন আসন চাইতে যাওয়া দলটির সর্বভারতীয় মর্যাদা কোথায় থাকে ?

এই আঞ্চলিক দলগুলো সর্বভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কোনো নীতি নিয়ে চলে না। নিজেদের রাজ্যে শক্তি সঞ্চয়, জাত্যাভিমান ও নানা রকম দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তের ভয়ে এরা সর্বদাই কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের সাথে থাকে।

এতসবের পরেও প্রকৃতভাবে মানুষের মনে জাতীয় দলের স্থান অর্জনের প্রচেষ্টাকে সরিয়ে দিয়ে এই সহজে চটজলদি কিছু জুটিয়ে নেওয়ার প্রবণতা সুবিধাবাদ ছাড়া আর কিছু নয়। বৃহত্তর গণ আন্দোলনকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে এটা কোনো অবস্থাতেই রাজনৈতিক কৌশল হতে পারেনা। বরং বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।


[[ চলবে ]]

আপনার মন্তব্যের জন্য নিচে "No Comments:" Click করুন।

No comments:

Post a Comment