প্রাথমিক কথা

প্রাথমিক কথা

FOR YOUR COMMENTS

Click "[_] commetns:" at bottom of Post

Monday, December 23, 2013

রাজনীতিকদের ক্ষোভ, " সব রাজনৈতিক দলের সব নেতা কর্মীরাই কি দূর্নীতিগ্রস্ত খলনায়ক? না হলে রাজনীতিকে সমর্থন জানানোর প্রবণতা কমছে কেন?" (২৩-১২-২০১৩-র পোস্ট )



২০১৩-র চারটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে শেষপর্যন্ত দিল্লিতে আম আদমি পার্টি সরকার গড়ল এবং সম্ভবত কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী হবেননির্বাচনে কংগ্রেস-৮, আপ (আম আদমি পার্টী)-২৮ এবং বিজেপি-৩২ টি আসন পেয়েছেসরকার গড়তে লাগে ৩৬টি আসনকংগ্রেস ও বিজেপি নিজেদের শত্রুতা সত্ত্বেও আপ ছিল এই দুটি দলের সাধারণ শত্রুভোটের পরে কংগ্রেস ও বিজেপির চাপে, তাদের পরিপক্ক রাজনীতিকদের রাজনৈতিক প্যাঁচে পড়ে আপ আধুনিক প্রযুক্তিতে বাধাহীন গণভোট নিল এবং শেষপর্যন্ত কংগ্রেসের সমর্থনে সরকার গড়ল

সরকার গড়া ও না-গড়া দুটোই আপের সামনে ছিল বিপদসেদিক থেকে এই দুটির মধ্যে সরকার গড়ার পথটাই আপ বেছে নিলএবার দেখার তারা কী করে

দিল্লির এই নির্বাচনের দিকেই অন্তত এই মূহূর্তে  মাছের চোখ শিকারের দৃষ্টিতে সকলের নানাদিকের হিসেব নিকেশ চলছে

প্রধান আলোচ্য হচ্ছে... আপ আগামী লোকসভায় কি ফল অর্জন করবেসারা দেশের মানুষ বিশেষত কংগ্রেস এবং সাধারণভাবে সব কটি রাজনৈতিক দলের ওপর বীতশ্রদ্ধ ও ক্ষুব্ধরাজনৈতিক দলে ও রাজনীতিতে অংশগ্রহণের প্রবণতা কমছেএ অবস্থায় লোকসভা নির্বাচনে মানুষ কি আপের সমর্থনে দাঁড়াবে?

সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে বিশেষত তরুণ বয়সীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ প্রশ্ন আকারে এলআপ প্রধানত দূর্নীতি, রাজনৈতিক কলুষতা, রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের ব্যক্তিগত জীবনে দূর্নীতি ও বিলাস সেই সরে যাওয়া ভোটারদের রাজনীতির বাইরের কোন দলকে সমর্থনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছেরাজনীতিকরা বলছেন এ প্রবণতা ভয়ংকরতাঁরা তাঁদের কথার সমর্থনে ক্ষুব্ধ হয়ে বলছেন, সব কটি রাজনৈতিক দলের সব নেতা-কর্মী কি দূর্নিতিগ্রস্ত খলনায়ক নাকি?

এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাঁদের বিভিন্ন নেতাকে প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে সামনে আনছেন
আমরা এগুলো একটু বিচার করি
১)     আমাদের দেখা নির্বাচনের ফলাফলের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি আম  আদমি পার্টি সারা দেশে যথেষ্ট সংখ্যক প্রার্থী দিতে পারলে, যার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে, আপ একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দলে পরিণত হবেশুধু প্রতিটি আসনে মানুষের কাছে তাদের অংশগ্রহণের বার্তা পৌঁছে দিতে হবেএই প্রচারে তাদের বড় সুবিধে হবে... সাধারণ মানুষই সমর্থনে, আনন্দে, নিস্তারের সাময়িক স্বস্তিতে, কৌতূহলে, হুজুগে সর্বত্র এই প্রচারের কাজ করে দেবেন
২)     এটা সত্যি যে সব কটি রাজনৈতিক দলের সবকজন নেতা-কর্মী দূর্নীতিগ্রস্ত খলনায়ক ননঅনেক ভাল মানুষ, শিক্ষিত মানুষ, যোগ্য মানুষ তাঁদের মধ্যে ছিলেন এবং এখনো হয়তো সংখ্যাগরিষ্ঠ তাঁরাই কিন্তু তাই থেকে কি একথা বলা যাবে যে সেই সমস্ত সৎ, ভাল, শিক্ষিত মানুষেরা যথাযথ নায়কের ভূমিকা পালন করতে পারছেন? একথা কি বলা যাবে সেই ভাল মানুষেরা অল্প সংখ্যক আদর্শচ্যুত দূর্নীতিগ্রস্ত জনবিরোধী খলনায়কদের দাবিয়ে রেখে নিজেরা সুস্থ, সৎ, বিশ্বাসযোগ্য রাজনীতি করতে পারছেন? কয়েক ৪/৫ দশক আগেও তো এতটা দৈন্য দেখা যায়নিতখন তো কিশোর থেকে বৃদ্ধ স্বেচ্ছায় ত্যাগ ও সংগ্রামের মানসিকতা নিয়ে রাজনীতিতেই ঝাঁপিয়ে পড়তেন, আক্রান্ত হতেন, জেল খাটতেন, প্রাণ দিতেন কিন্তু পিছপা হননি। সবকটি রাজনৈতিক দলের অতীত ইতিহাস তাই। বাম, অতিবাম আন্দোলন ও সংগঠন তো তাদের নিয়েই গড়ে উঠেছিলতবে আজকে বিপরীত চিত্র কেন? এর জন্য দায়ী খলনায়ক-সুনায়ক উভয়েইকেউ দায় এড়াতে পারেন না

        ৩) কোন একটি গোষ্ঠী যখন নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্রে সরকার গঠন করে সে তখন অবধারিতভাবে একটি নির্ধারিত রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে প্রবাহিত হয় এবং রাজনৈতিক চরিত্র অর্জন করেঅবশেষে রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়আপ ইতিমধ্যেই একটি তেমন দলে পরিণত হয়েছে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়

    ৪)    প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রশ্নে এই সময়তে যেটুকু বলা যায়... কংগ্রেস নেতা রাহুলের কথায় আমরা কোন পরিপক্কতা দেখতে পাচ্ছিনাযা দেখছি অপরিপক্ক সারল্যতিনি যেখানে যা বলার নয় সেখানে তাই বলছেনতার বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে কংগ্রেস দলের থেকে মানুষ সরে গেছেমানুষ আর কংগ্রেস দলকে বিশ্বাস করেনাযেমন উনি বলেছেন প্রথমত দূর্নীতি আমাদের নেতাদের রক্তশূন্য করে দিয়েছে...  দ্বিতীয়ত কংগ্রেস দল সম্পর্কে কাগজে ভাল খবর লিখলে সে কাগজ বিক্রি হয়নাতার মানে কংগ্রেস দল কোন ভাল কাজ করছে একথা কেউ বিশ্বাস করেনাসর্বোচ্চ নেতৃত্বের একজন এমনকি প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী একথা বললে পরিণতি কী হতে পারে? আবার কোথাও যদি ভুল হয়ে যায়, পরক্ষণে তিনি বলেন, মা বলেছেন, আমার ভুল হয়েছে, আমি তাই বলছি আমার ভুল হয়েছেএহেন অপরিপক্ক সারল্য দেখার জন্য তাকে বা তার দলকে কেউ আসন ছেড়ে দেবে কিনা সন্দেহ আছে

   ৫)     সি পি আই এম নেতা প্রকাশ কারাত পরিস্থিতি ব্যখ্যার পর বলছেন,  কংগ্রেস নয়, বিজেপিও নয় একমাত্র সম্ভাবনা আছে বামপন্থীরা এবং সমস্ত আঞ্চলিক দলগুলি সরকারে যাওয়ার অবস্থায় আসবেএ বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা আদৌ সম্ভব নয়, কারণ সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস-বিজেপির চাইতেও বেশি এবং সরকার গড়ার মত আসন সি পি আই এম পাবেনা যার শক্তিতে তারা অন্যদের আকৃষ্ট করতে পারে


সেজন্যে, একথা বলাই যায়, লোকসভা নির্বাচন ২০১৪ একটা নতুন পরিস্থিতি তৈরি করে দেবে 

“উঠিব লাগিব, বহিব লাগিব” ...(১৮-১২-২০১৩-র পোস্ট )

“উঠিব লাগিব,
বহিব লাগিব” ... ... ...
আসামে দীর্ঘ বহুবছর বসবাসকারী এক বন্ধু যিনি কলকাতাতেও প্রায়ই যাওয়া আসা করেন, কিছুদিন করে কলকাতায় থেক আবার আসামে যান তাঁর কাছে শুনলাম এই শ্লোগানআন্না হাজারে যখন লোকায়ুক্ত ও লোকপালের দাবীতে অনশন করছেন তখন এই লোকপাল সম্পর্কে আসামের চা বাগানের শ্রমিক থেকে শুরু করে প্রায় সর্বত্র যার মধ্যে বামপন্থী সমর্থকরাও ছিলেন সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ধারনা হয়েছিল যে, “উঠিব লাগিব’ বহিব লাগিব” এবং আরও কয়েকটি শ্লোগান যার অর্থ দাঁড়ায়, আমারা যা বলব তাই শুনতে হবেথানার অফিসার, পুলিশ সুপার, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কোর্টের উকিল সকলকে আমাদের কথায় “উঠতে হবে, বসতে হবে” , এই হ’ল “উঠিব লাগিব, বহিব লাগিব”

রাজ্যসভায় লোকপাল বিল পাস হ’ল, লোকসভাতেও পাস হবে বলে মনে হচ্ছেযারা প্রথমে বিরোধীতা করেছিলেন তাঁরাও এবারে একটু এদিক ওদিক করে, ধানাই পানাই করে বিল সমর্থন করে দিলেনকেউ কেউ এমন কথাও বললেন লোকপাল থাকা মানে দেশের সমস্ত আইনসভা ও বিচারসভা গৌণ হয়ে পড়বেমনে হবে আমাদের দেশের সব রাজনৈতিক দল সব রাজনৈতিক নেতা চোরসত্যিই কি তাই ? এই প্রশ্ন তুলেও তাঁরা লোকপাল বিলকে সমর্থন করলেন


রাজ্যসভায় পাস হয়ে যেতেই অনশন মঞ্চ থেকে অনশন তুলে নিয়ে আন্না হাজারে বললেন ৫০% দূর্নীতি বন্ধ হবেএ সিদ্ধান্তের মাপকাঠি কী ? যদি ধরেও নেওয়া যায় যে জাদুবলে ৫০% নূর্নীতি বন্ধ হবে তবে অবশিষ্ট ৫০% দূর্নীতির কী হবে ? কে তদন্ত করবে, বিচার করবে ? এর পর কি আরেকটা মহা লোকপাল বিল আনতে হবে ?   

ভারতে 'সমকামিতা' নিয়ে কোর্টের রায়কে কেন্দ্র করে নানা জনের অভিমত প্রসঙ্গে টুকরো কথা। (১৪-১২-২০১৩-র পোস্ট )


ভেবেছি ১২-১২-২০১৩ এবং ১৩-১২-২০১৩ তারিখের বাংলা, ইংরেজি সব কটি খবরের কাগজ সযত্নে বাঁধিয়ে রাখব

কেন?

কারণ আমি হতাশ, চূড়ান্ত হতাশ........................।।

'সমকামিতা' নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর শীর্ষস্থানিয় নেতা নেত্রী সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠিত বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ, "আমি হতাশ", "আমি চূড়ান্ত হতাশ" ইত্যাদি অভিমত ব্যক্ত করেছেন এবং সুপ্রিম কোর্টকে অপরাধী করে তুলেছেন বলছেন ভারতবর্ষকে পেছন দিকে টেনে নেওয়া হচ্ছে এমন কথাও উঠে এসেছে "এবারে ওদের (সমকামীদের) পাশে দাঁড়ানোর সময় এসেছে"

ঘেন্নায়, রাগে, ক্ষোভে, বিস্ময়ে আমার গা গুলিয়ে উঠছে বমি পাচ্ছে ভেবেছিলাম আরও অন্য বিষয়ের মতই এটা নিয়েও কিছু বলব না, কিন্তু পারলামনা একমাত্র দেখলাম শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, কপিল সিব্বাল এবং আরও দুয়েকজন ভাল বলেছেন আর যাকে আমাদের দেশের প্রধান হিসেবে মাঝে মাঝেই ভাবা হয় তার কথা শুনেতো দুশ্চিন্তা বেড়ে গেল

সমকামিতার সমর্থনে এরকম অনুভূতি কারো থাকতেই পারে কথাটা প্রথমেই স্বীকার করলাম কারণ তা না হলে ব্যক্তিস্বাধীনতা বিরোধের দায়ে পরতে হতে পারে যারা সমাজের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে বলে ভাবছেন, সংস্কৃতি ও সম্পর্কের অবক্ষয় হবে বলে ভাবছেন, বিরুদ্ধে আছেন, চুপ করে আছেন, নির্লিপ্ত আছেন তাঁদের নিয়ে ভয় নেই কারণ তাঁরা এ অভিযোগ আনবেন না

একটি সুপরিচিত ইংরেজি দৈনিকে দেখলাম ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার মাত্র ৭-১৩% সমকামী প্রকৃত জনসংখ্যার হিসেবে সংখ্যাটি আরও অনেক কম তাহলে কী দাঁড়াল?

৭০% এর কাছাকাছি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে তাদের নিয়ে নেতা নেত্রী উচ্চবর্গের মানুষদের বিন্দুমাত্র হতাশা নেই, উদ্বেগ নেই

প্রায় সম সংখ্যক মানুষের অনাহারের পাশাপাশি পানীয় জলের অভাব, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার অভাব, শিক্ষার অভাব এসব নিয়ে তাঁদের কোন হতাশা নেই, ক্ষোভ নেই

ঢাকঢোল পিটিয়ে শুরু করা খাদ্য সুরক্ষায় মাত্র ২৭০০০ কোটি টাকা খরচ হবে আর পেট্রোল ও সারের ভর্তুকিতে ১,৬৫,০০০ কোটি টাকা, সোনা হীরে ইত্যাদি আমদানিতে ৫৭,০০০ কোটি টাকা শুল্ক ছাড়া দেয়া হবে তা নিয়ে হতাশা নেই, উদ্বেগ নই, ক্ষোভ নেই

দূর্নীতি, স্বজন পোষণ, অপরাধীকে আড়াল করা, দেশ পরিচালনা ও আইন তৈরি করার দায়িত্ব খুনি, চোর, ডাকাতদের হাতে তুলে দেয়া নিয়ে হতাশা নেই, ক্ষোভ নেই, প্রতিবাদ নেই, রাতের ঘুম নষ্ট হওয়া নেই

শিক্ষা ও অর্থাভাবে দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা যারা করাতে পারেন না তাঁদের সেই অপারগতা নিয়ে হতাশা নেই চিকিৎসকদের একাংশের অনৈতিকতা নিয়ে, নৃশংসতা নিয়ে হতাশা নেই, ক্ষোভ নেই ওষুধ কোম্পানিদের অপরিসীম মুনাফা নিয়ে উচ্চবাচ্য নেই

এত সব নেইয়ের কথা অনেক প্রাকৃতিক এবং অ-প্রাকৃতিক নেইতে দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর সময় নেই কিন্তু গুটিকয়েক মানুষের অদ্ভুত আচরণের পাশে এসে দাঁড়ানোর জরুরি সময় এসেছে

সুপ্রিম কোর্ট অন্যায় কী করেছে ? বিচার বিভাগ কি আইন তৈরি করবে? বিচার বিভাগ কি আইন বাতিল করবে? হাই কোর্টের রায় তো আইন তৈরি করারই সমতুল্য সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, 'আইনসভা ঠিক করুক এ আইন তারা রাখবে কি না', এর পরে আর হাই কোর্টের রায় টেঁকে না

হিমঘরে, হিমঘরের বাইরে বা গুদামের বাইরে খোলা জায়গায় রোদে বৃষ্টিতে আবর্জনায় সুচিন্তিত চূড়ান্ত অবহেলায় উদাসীনতায় অনীহায় লক্ষ লক্ষ টান খাদ্যা শস্যা নষ্ট হলে যখন সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেন, 'গরিব মানুষের মধ্যে সেগুলো বিনা মূল্যে বিলি করতে হবে' কিন্তু সরকার যখন সে আদেশ মানতে প্রকাশ্যে অস্বীকার করেন তখন সেই অমান্যতা, অবহেলা, উদাসীনতা নিয়ে এঁরা কেউ হতাশ হন না

বাকি সকলের ব্যক্তি স্বাধিনতার প্রশ্ন নিয়েও অনেক কথা বলা যায় কিন্তু তাতে আবার আজকে যারা হতাশায় ক্ষুব্ধ, পাশে দাঁড়ানোর জরুরি প্রয়োজন উপলব্ধি করছেন তাঁদের গোঁসা হবে

এখন নয়, সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরনোর পরে নয়, সমকামীদের নিয়ে নয় আমি হতাশ প্রতিবন্ধী মানুষদের যথেষ্ট সুযোগের অভাবে আমি হতাশ আদিবাসী ও প্রান্তিক মানুষদের প্রতি ধারাবাহিক বঞ্চনা নিয়ে আমি হতাশ ওপরের কারণগুলো নিয়ে আমি হতাশ ক্ষমতাসীন আর উচ্চবর্গের মানুষেরা দেশটাকে টেনে হিঁচড়ে পেছনে নিয়ে যাচ্ছে তা দেখে

আমি চূড়ান্ত হতাশ আমাদের ক্ষোভে, আমাদের হতাশায়, আমাদের প্রতিবাদ কোন ফল হয় না দেখে

স্বাধীনতার পরেপরেই আমার জন্ম এই চূড়ান্ত হতাশা নিয়েই মঙ্গল অভিযাত্রী ভারতে আমার মৃত্যু থেকে যাবে আমার হতাশার সুদীর্ঘশ্বাস



-2-

কোন কোন পাঠকের বুঝতে একটু ভুল হয়ে গেল বলে মনে হচ্ছেতাঁরা বলছেন 'সমকামিতা' নিয়ে লিখতে গিয়ে অন্য বিষয়ের উত্থাপনের ফলে এটি 'গরুর রচনা'-র মত হয়েছেএ জন্য স্পষ্ট করে দিই যে, আমি এখানে 'সমকামিতা' নিয়ে বা অন্য বিষয়গুলো নিয়েও কোন নিবন্ধ লিখিনি তাই সেগুলোর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখার দায়বদ্ধতাও নেই আমার কথার মূল বিষয় হ', সমকামিতা নিয়ে আইনসভায়, বিচারসভায় আলোচনা হোক, প্রাণী বিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ সুফল-কুফল আলোচনা করুন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন সেটা সবাইকেই মেনে নিতে হবে তাঁরা বলুন যে তাঁরা আলোচনা করবেন কপিল সিব্বাল, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, বিমান বোস এমন আরও দুয়েক জন সেকথা বলেছেন কিন্তু বাকিরা যে ভাবে "হতাশা" "চূড়ান্ত হতাশা" "পাশে দাঁড়ানোর সময় এসেছে" এসব অভিমত ব্যক্ত করেছেন তাঁদের সেই চটজলদি অতি হতাশার অপ্রয়োজনীয় প্রকাশ সমাজ জীবনে দুরকমের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে এঁরা সেই পরিমাপ রক্ষা করে ঠিক কথাটা যা অত্যন্ত সহজ ছিল তা বলেননি আমি তাঁদের ভ্রান্তি নিয়ে বলতে চেয়েছি

আমাদের দেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং আইনি বহু আলোচনা সর্বাগ্রিধাকার পায় এহেন হতাশা প্রকাশের এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিক আলোচনার যেগুলোর সমাধান না হলে আশু সমূহ বিপদ মণিপুর থেকে মুর্মু, পরমাণু থেকে শস্যানু সব কিছুই সে তালিকায় থাকে নারী নির্যাতনও স্থান করে নিয়েছে এবং আশু আলোচনার দাবী রাখে সে সবে চূড়ান্ত উদাসীনতা, চূড়ান্ত  অবহেলার বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ, আমার প্রতিবাদ

হিমঘরে কিংবা গুদামে লক্ষ লক্ষ টন খাদ্যশস্য পচে নষ্ট হয়ে গেলে সুপ্রিমে কোর্ট যখন রায় দেয় সেগুলো বিনামূল্যে বিলি করার তখন কেউ এই চূড়ান্ত অবহেলা, চূড়ান্ত উদাসীনতা এমনকি চূড়ান্ত অবাধ্যতা ও অনীহা যা কার্যত প্রকাশ পায় তা নিয়ে কাউকে ক্ষুব্ধ হতে দেখিনা বরং সুপ্রিম কোর্টের রায় না মানার প্রবণতা দেখি

হতাশা এবং ক্ষোভ কোন বিষয়ে কখন কতটা প্রকাশ করতে হবে তা এঁদের জানা উচিত, বোঝা উচিত, সক্রিয় হওয়া উচিত আমার লেখার এটাই মূল প্রতিপাদ্য আশাকরি আমাদের দেশের এই নেতৃস্থানীয় ও নানা গোয়ালে ঠাঁই অর্জন করে নেয়া 'গরুর কুলের' রচনা যদি হয়ে থাকে তবে তা ভালই হয়েছে

এবারে 'সমকামিতা' নিয়ে একটু বলি একদিকে বলা হচ্ছে এটা একটা আধুনিক প্রবণতা আর এ প্রবণতা মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ  এ আধুনিকতা 'অধুনা'র আধুনিকতা, 'অধুনা' থেকে 'আধুনিক'  'গুণমানে উন্নত' বলে 'আধুনিক' নয় তাহলে মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ যে কোন 'আধুনিক' বিষয়কে কেন্দ্র করে আন্দোলন হবে এবং তার আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে? অন্যেরা পালটা আন্দোলন করলে কী হবে?

আমার মতে এ ধরনের বিষয়ে সামাজিক বা আইনি স্বীকৃতির ঔচিত্য বিচারের দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্ট বা আইনসভারও নয় বিচারের দায়িত্ব থাকা উচিত সম্পৃক্ত ক্ষেত্রগুলির বিজ্ঞানীদের ওপর 



আমি আবার দৃষ্টি আকর্ষন করছি যে বর্তমান পোষ্টে এসব কোন কিছুই আমার মূল কথা নয় আমার কথা হ'ল দেশের নেতারা এতেই হতাশায় ভেঙে পড়ছেন তবে দেশ চলবে কী করে ? :) এদের ধিক্কার

True to his ideological beliefs, he had led an austere life. He dressed only in khaddarer panjabi and dhoti and worked and slept on the same mattress. (২০-১০-২০১৩-র পোস্ট )

True to his ideological beliefs, he had led an austere life. He dressed only in khaddarer panjabi and dhoti and worked and slept on the same mattress.

আমার দেখা ও আমার জ্যেষ্ঠ বন্ধুর জীবন থেকে নেয়া কটি কথা এখানে উল্লেখ করলামপ্রতিটি অনুচ্ছেদেই বিশেষ কিছু আছে যা অনেক কিছু ভাবতে আমাদের প্রেরণা দিতে পায়ে

দেশ স্বাধীনতার ও দেশভাগের পর ১৯৪৮ সালে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র সুফি ওপার বাংলার ব্রাহ্মণবেড়িয়া বিদ্যালয় ছেরে যখন কলকাতায় চলে আসেন তখন তাঁর ভাবনায় ছিল তাঁরা কিছুদিনের জন্য বেড়াতে যাচ্ছেন, অল্প ক'দিন পরেই ফিরে আসবেনপরে যখন বুঝলেন যে সেখানে ফিরে যাওয়ার জন্য তাঁদের আসা নয় তখন তিনি কহবই ভেঙে পড়েছিলেনপরে বলেছিলেন দেশভাগের এই আঘাত থেকে, দুঃখ থেকে তিনি আর কোনোদিনই মুক্তি পাননি 

এখানেই প্রথাগত পড়াশুনার শেষে ১৯৫৮তে চিত্রাঙ্কন আর হস্তশিল্প শেখার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন কিন্তু নিজের ও পরিবারের দারিদ্র ও আর্থিক অনটনের কারনে ১৯৬২তে সেই ইচ্ছা তাঁকে ত্যাগ করতে হয়সেসময়ে তিনি কার্টুনিস্ট হবার সিদ্ধান্ত নেন
তাঁর প্রথম কার্টুন প্রকাশিত হয় স্বাধীনতা পত্রিকায় 

শুধু শৈশবে বা শুধু চিত্রকলা শিক্ষার্জনের সময়েই নয়, অপরিসীম দারিদ্র, অভাব, দেশভাগের দুঃখ, চার পাশের অমানবিক বৈষম্যের যন্ত্রণা এসব তাঁকে বেঁধে ফেলেএ সময়ে তিনি স্বাধীনতা পত্রিকায় রাজনৈতিক কার্টুন আঁকা শুরু করেনস্বাধীনতা পত্রিকার অন্যতম কর্ণধার অরুণ রায় তাঁকে রাজনৈতিক কার্টুন আঁকাতে অনুপ্রাণিত করেনশ্রী রায় পরে সুফিকে 'পাঞ্চ' পত্রিকার ভারতীয় সংস্করণ এবং শংকর'স উইকলির সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেন১৯৭৫ এর জরুরি অবস্থার সময় এগুলোর পরকাশ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এসব পত্রিকায় কার্টুন এঁকেছেনএখানে নিজের আসল নাম নরেন রায় পরিচয় দিয়ে শুরু করলেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক কার্টুন আঁকার কারনেই কখনো বিনি, কখনো বিরিঞ্চি, কখনো শ্রীগুপ্ত বা কখনো প্রমীলা রায় নামে যাবতীয় কার্টুন আঁকতেন

১৯৬০ সালে বসন্ত কুমার চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক কলকাতা থেকে প্রকাশিত মহিলাদের সাময়িকী 'মহিলা' -র পাতায় আঁকার জন্য আমন্ত্রিত হন কিন্তু শর্ত থাকে যে তাঁকে মহিলা নামে মহিলা পরিচয়ে আঁকতে হবেতখন তিনি তাঁর মা প্রমীলা রায়ের নামে আঁকতে শুরু করেনএকই সাথে বসুমতী ও যুগান্তর পত্রিকায় তিনি সঞ্জয় নাম দিয়ে কার্টুন আঁকতেন 

সাঁওতাল বিদ্রোহ নাম দিয়ে তিনি স্বাধীনতা পত্রিকায় রবিবারের সংখ্যায় ধারাবাহিক কমিক স্ট্রিপ আ৬কতেনতাঁর আঁকা এই বিদ্রোহের ছবির সং লেখা ছিল পাঁচুগোপাল ভাদুড়ির১৯৯৬-এ যুগান্তর বেঙ বসুমতী বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত এক টানা ২৪ বছর তিনি সেখানে ছিলেন

কমিউনিস্ট পার্টি-র মুখপত্র গণশক্তি আঁকা শুরু করার সময়ে তাঁকে 'সুফি' নামে আঁকার পরামর্শ দেওয়া হয়

জন্ম দিনে...। (৭-১০-২০১৩-র পোস্ট )

মাঝে মাঝেই এখানে আসা বন্ধ থাকেশরীর তো একা ঘনাদারই ( Ramkrishna Bhattacharya ) আছে তা নয়  , ফলে... ... , মজার ব্যাপার হ'ল ফেসবুকের দৌলতে এই প্রথম জন্মদিনে অনেক বন্ধুর ( আত্মীয় সমেত ) শুভ কামনা জানতে পারলামকাউকেই প্রাপ্তি এবং 'ধন্যবাদ' জানান হয়নিপ্রত্যেককে আলাদা ভাবে বার্তা দেয়ার ধৈর্য আমার নেইএখানে একসাথে সবাইকে ভালবাসা, শুভেচ্ছা ও সম্মান জানাচ্ছি 

ঘনাদা আমার চাইতে বেশ কয়েক বছরের বড় বলেই বলছি ঐ 'বুড়োটা', আদতে উনি শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতায় আমার চাইতে 'যুবক' , তা সেই বুড়োটার এক পাতা জোড়া শুভেচ্ছা পেলামঅন্যেরাই বা কম যান কিসে ! কাউকেই তো চোখে দেখিনি, হয়ত কারো কারো সঙ্গে হটাত দেখা হয়ে যেতে পারে কিন্তু সে সময়ে চিনতে পারব কি না আশঙ্কা আছেচোখের দেখাটুকুও না থাকা সত্তেও সকলের এই ভালবাসার মূল্য অপরিসীমআমার মনে হয়, আসলে আমাদের ভাবনার মিলটা বোধহয় কোথাও এক হয়ে গেছে তাই এই 'ভাল হোক, ভাল থেকো' বার্তাটুকু পৌঁছে দেয়া ! 

বন্ধুদের জন্ম দিনটা যেখানে দেখানো হয় সে জায়গাটা আমি পারত পক্ষে খেয়াল করিনা তাই অনেকেরই জন্মদিনে আমি তাদের 'ভাল হোক' জানাতে পারিনাজানাতে না পারলেও 'ভাল হোক' এটা কিন্তু আন্তরিক ভাবেই চাই, বিশাস করুনসকলকেই প্রচুর শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানাচ্ছি

নোটিফিকেশনের জায়গাটা এবার থেকে খেয়াল রাখব  

প্রথম রাতে মানে ৫ তারিখ রাতে কয়েকজন বন্ধুকে তাঁদের শুভেচ্ছার প্রাপ্তি স্বীকার বার্তায় যে কথা লিখেছিলাম, আজ এখানে সেটাই দিয়ে দিচ্ছিআমার ভাবনা সকলের সাথে মিলবেই এমন কোনো কথা নেইযদি না মেলে তাও বিরক্ত আর বিমুখ না হয়ে বন্ধুত্ব বাঁচিয়ে রাখবার আবেদন জানাই, কেননা বন্ধু গেলে থাকেটা কে

"ভাল কাটার দিনগুলো সব আপাতত তুলে রাখা আছে কুলুঙ্গিতেবড় অস্থির সময় এটাঅস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে পার করে এলাম এত বছর তবু কিছু স্বপ্ন ছিল কোন এক দিন, দুর্যোগের মাঝেও অনেক আনন্দ ছিলচোখের সামনে অবিমৃষ্য আর দাম্ভিক মানুষের বিপথু মেধার মোহে মনে হয় নিভে গেছে সে আলোযা হবার কথা ছিল, যে সুখের স্বপ্ন ছিল তার সবটা না হোক কিছুটা হতেই পারত, হতে দিলাম না আমরাকী করে ভাল থাকি? অন্তত আমি ভাল নেই, আমি ভাল নেই, সত্যিই আমি ভাল নেইধন্যবাদ... ..." 


যাঁদের নাম এখানে লিখিনি তাঁদের কাছেও এটা পৌঁছে যাবেই যাবে

আমাদের দেশের সংবিধানের ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন। (৪-১০-২০১৩-র পোস্ট)

সদ্য ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হ'ল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের জেল 

প্রায় কুড়ি বছর হ'ল ভুষি কেলেঙ্কারীর মামলা চলেছে, এতদিন পরে রায় বেরোল, জেল হ'সত্যিকারের জেলএবারেরটা সত্যিকারের জেল বললাম কেন ? এর আগেও দুবার তার জেল হয়েছিল দুর্নীতির মামলায়ভুষি কেলেঙ্কারী মামলায় প্রথমবার যখন জেল হয় তখন তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীজেলে যাওয়ার আগে তিনি তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে মুখ্যমন্ত্রী করে দিয়ে পরদিন জেলে গেলেন এবং জেল থেকেই রাবড়ি দেবীর মারফত তিনিই রাজ্যপাট চালাতেনতারপর হিসেব বহির্ভূত অর্থের দায়ে জেল হয়কিন্তু এ দুবারের একবারও তাকে আসল জেলে যেতে হয়নি, তার বদলে তাঁকে রাখা হয়েছিল জেলাশাসকের অতিথি শালায়আর এবার যেতে হয়েছে সত্যিকারের জেলে

গত কুড়ি বছরে তিনি দাপটের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন ভারত সরকারের রেলমন্ত্রী হয়েছেন এবং রেলদপ্তরে তাঁর "সাফল্য"-এর ব্যাখ্যা ও দিকনির্দেশ আলোচনার জন্য হার্বার্ড ইউনিভারসিটিতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন

এই কুড়ি বছরে মানুষ এটা বিশ্বাস করেননি যে কেলেঙ্কারীর দায়ে এদের জেল হতে পারেবরং উল্টোটাই বিশ্বাস করেছিলতাদের বিশ্বাস করানো গেছিল যে, এসব কেলেঙ্কারী আর দূর্নীতির অভিযোগ ও মামলা সবই চিরাচরিত রাজনীতির ষড়যন্ত্র, আসলে মিথ্যা মামলাসাধারণ মানুষের মনে এই ধারনা গেঁথে দেওয়া হয়েছিল যে, এঁরা যখন যা খুশি তাই করতে পারেন, কেউ টিকিটি ছুঁতে পারবেনা

আমাদের দেশে আইন প্রণেতা থেকে শুরু করে প্রশাসনের উচ্চপর্যায় থেকে নিম্নস্তর পর্যন্ত দূর্নীতির বিস্তার ঘটেছে, গভীরে তার শেকড়অজস্র মামলা হয়েছে, সকলের না হোক কারো কারো শাস্তি হয়েছে কিন্তু সমুদ্রের নিচে পাহাড়ের সিংহভাগই এখনো জলের নিচে, কিছু করা যায়নাআইনসভাতেও শতাধিক সদস্য দুর্নীতি, খুন, জখম ইত্যাদি নানা রকম মামলায় জড়িতচলছে টাকার খেলা, ক্ষমতার খেলাদুর্ভোগ ভুগছে নিচের তলার সাধারণ মানুষএদেরই রক্ষা করার জন্য সরকার আইনসভায় বিল এনেছিল, পাশ হয়েছিল 

দিল্লির ধর্ষন ও হত্যা মামলায় প্রথম দিকে সরকার গা নাড়াতে না চাইলেও মানুষের চাপের কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়েছিলআমাদের রাজ্যে রিজওয়ানূর, পার্ক ষ্ট্রীট থেকে শুরু করে



গেদে, সুটিয়া হয়ে কামদুনির ঘটনা সেখানে কোনো বিচার এখন পর্যন্ত হয়নি, আদৌ প্রকৃত বিচার হবে কিনা সন্দেহ আছেগেদেতে প্রায় একই ঘটনাএবং আমরা দেখছি রাজনীতিক ও আইন প্রণেতারা সেখানে গিয়ে বেশ দামী উপঢৌকন দিয়ে আসছেন অত্যাচারিত ও আক্রান্তদের কিনে নেবার জন্য, গন-প্রতিবাদ ও প্রতিরোধকে দমন করছেন 

গ্রাম পঞ্চায়েত, পুলিশ চৌকী, রাস্তার ট্রাফিক গার্ড থেকে শুরু করে আইনসভা ও তার সদস্য এমনকি মন্ত্রীবর্গ পর্যন্ত দূর্নীতির জাল বিস্তার হয়েছে 

অজস্র এমন উদাহরণ আছে যেখানে রাজনৈতিক বা জোট সমর্থন থাকলে কোনো তদন্ত বা মামলা হয়না কিন্তু সেটা না থাকলে ও কথা না শুনলেই তদন্ত, মামলা গ্রেপ্তারি, জেল-বন্দি ইত্যাদি ঘটে উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বিচারের এই কাল বিলম্ব এবং অন্যায় দূর্নীতির অন্যান ক্ষেত্রে বিচারের কাল বিলম্ব, রাজনৈতিক-প্রশাসনিক প্রশ্রয় এসবের ফলে এই দূর্নীতিকরা মানুষকে নিজেদের বশে আনছেন, যা খুশি তাই করছেন

সার্বিক ব্যাপ্তির বিচারে দ্রুত বিচার ও শাস্তি প্রদানের এমন ব্যাবস্থা সংবিধানে রাখতে হবে যা কোনো অজুহাতেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে নাকোনোরকম ভাবেই আইনসভা, ন্যায়ালয় ও আইন রক্ষকদের যাতে প্রভাবিত করা না যায় তার যথাযথ ব্যাবস্থা সংবিধানে রাখতে হবে


তাই..................   

আমাদের দেশের সংবিধানের ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন