True to his
ideological beliefs, he had led an austere life. He dressed only in khaddarer
panjabi and dhoti and worked and slept on the same mattress.
আমার দেখা ও আমার জ্যেষ্ঠ বন্ধুর জীবন থেকে নেয়া কটি কথা এখানে
উল্লেখ করলাম। প্রতিটি
অনুচ্ছেদেই বিশেষ কিছু আছে যা অনেক কিছু ভাবতে আমাদের প্রেরণা দিতে পায়ে।
দেশ স্বাধীনতার ও দেশভাগের পর ১৯৪৮ সালে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র সুফি ওপার বাংলার ব্রাহ্মণবেড়িয়া বিদ্যালয় ছেরে যখন কলকাতায় চলে আসেন তখন তাঁর ভাবনায় ছিল তাঁরা কিছুদিনের জন্য বেড়াতে যাচ্ছেন, অল্প ক'দিন পরেই ফিরে আসবেন। পরে যখন বুঝলেন যে সেখানে ফিরে যাওয়ার জন্য তাঁদের আসা নয় তখন তিনি কহবই ভেঙে পড়েছিলেন। পরে বলেছিলেন দেশভাগের এই আঘাত থেকে, দুঃখ থেকে তিনি আর কোনোদিনই মুক্তি পাননি।
এখানেই প্রথাগত পড়াশুনার শেষে ১৯৫৮তে চিত্রাঙ্কন আর হস্তশিল্প শেখার
জন্য ভর্তি হয়েছিলেন কিন্তু নিজের ও পরিবারের দারিদ্র ও আর্থিক অনটনের কারনে
১৯৬২তে সেই ইচ্ছা তাঁকে ত্যাগ করতে হয়। সেসময়ে তিনি কার্টুনিস্ট হবার সিদ্ধান্ত নেন।
তাঁর প্রথম কার্টুন প্রকাশিত হয় স্বাধীনতা পত্রিকায়।
শুধু শৈশবে বা শুধু চিত্রকলা শিক্ষার্জনের সময়েই নয়, অপরিসীম দারিদ্র, অভাব, দেশভাগের দুঃখ, চার পাশের অমানবিক বৈষম্যের যন্ত্রণা এসব তাঁকে বেঁধে ফেলে। এ সময়ে তিনি স্বাধীনতা পত্রিকায় রাজনৈতিক কার্টুন আঁকা শুরু করেন। স্বাধীনতা পত্রিকার অন্যতম কর্ণধার অরুণ রায় তাঁকে রাজনৈতিক কার্টুন আঁকাতে অনুপ্রাণিত করেন। শ্রী রায় পরে সুফিকে 'পাঞ্চ' পত্রিকার ভারতীয় সংস্করণ এবং শংকর'স উইকলির সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেন। ১৯৭৫ এর জরুরি অবস্থার সময় এগুলোর পরকাশ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এসব পত্রিকায় কার্টুন এঁকেছেন। এখানে নিজের আসল নাম নরেন রায় পরিচয় দিয়ে শুরু করলেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক কার্টুন আঁকার কারনেই কখনো বিনি, কখনো বিরিঞ্চি, কখনো শ্রীগুপ্ত বা কখনো প্রমীলা রায় নামে যাবতীয় কার্টুন আঁকতেন।
১৯৬০ সালে বসন্ত কুমার চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক কলকাতা থেকে প্রকাশিত
মহিলাদের সাময়িকী 'মহিলা' -র পাতায় আঁকার জন্য আমন্ত্রিত হন
কিন্তু শর্ত থাকে যে তাঁকে মহিলা নামে মহিলা পরিচয়ে আঁকতে হবে। তখন তিনি তাঁর মা প্রমীলা রায়ের
নামে আঁকতে শুরু করেন। একই সাথে বসুমতী ও যুগান্তর পত্রিকায় তিনি সঞ্জয় নাম দিয়ে কার্টুন
আঁকতেন।
সাঁওতাল বিদ্রোহ নাম দিয়ে তিনি স্বাধীনতা পত্রিকায় রবিবারের সংখ্যায় ধারাবাহিক কমিক স্ট্রিপ আ৬কতেন। তাঁর আঁকা এই বিদ্রোহের ছবির সং লেখা ছিল পাঁচুগোপাল ভাদুড়ির। ১৯৯৬-এ যুগান্তর বেঙ বসুমতী বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত এক টানা ২৪ বছর তিনি সেখানে ছিলেন।
No comments:
Post a Comment